ঢাকার দক্ষি-ণখানে সরদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও পরকীয়া প্রে-মিকা স্ত্রী আসমা মিলে ছয় টুকরো করে স্বা-মী আজহারকে হ-ত্যা-র ঘটনায় মেয়ে আসমার ফাঁসি চাইলেন বাবা আশরাফ আলী। তার বাড়ি টা-ঙ্গা-ইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের কুইজবাড়ি গ্রামে। আশরাফ আলী জানান, ছয় টুকরো করে হত্যা করার বিষয়টি হৃ-দয় বিদারক, ক-ষ্ট-দায়ক ও ন্যা-ক্কা-রজনক। এমন ঘটনার তী-ব্র নি-ন্দা জানাই। আমার মেয়ে আসমা যদি এই ঘটনার স-ঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার ফাঁসি দাবি করছি।
দু-ষ্টু গরু থাকার চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। তিনি আরো জানান, আসমার তৃ-তীয় বিয়ে হওয়ার পর থেকে আমাদের স-ঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। গত বছর ঈদে আমাদের বাড়ি আসছিল সে। এরপর আর কোনো যোগাযোগই ছিল না। গত রোজার ঈদের আগে আসমার স্বা-মী যখন অ-সু-স্থ হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে ভ-র্তি ছিল তখন থেকে আবার যোগাযোগ শু-রু হয়। লাশ উদ্ধারের দিন প্র-শাসনের পক্ষ থেকে আমাকে হ-ত্যা-র বিষয়টি জানায়। কে এই হ-ত্যা-র সঙ্গে জড়িত তা কিছুই বলেনি তারা। পরে মেয়েকে নিয়ে গাড়ি ভাড়া করে ঢাকায় যাই।
যাওয়ার স-ঙ্গে সঙ্গে র্যা ব আমাদের আলাদা করে একটি ঘরে বসিয়ে রাখে। সেখানে কথা বলার পরদিন আমাকে ছেড়ে দেয়। এরপর আসমা ও ইমামকে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আসমার ছেলে আরিয়ান সিকদারকে আমার হেফাজতে দিয়েছে র্যা ব। আরিয়ান এখন আমাদের হেফাজতেই রয়েছে। আশরাফ আলী জানান, তার পাঁচ স-ন্তা-ন, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে।
স-ন্তা-নদের মধ্যে আসমা দ্বিতীয়। ২০১৪ সালে পা-র্শ্ব-বর্তী দুর্গাপুর গ্রামে এক ছেলের সঙ্গে আসমার বিয়ে হয়েছিল। কি-ন্তু সেই বিয়ের পরদিন আসমা চলে আসে স্বা-মীর সংসার ছেড়ে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে কালিহাতীর এলে-ঙ্গা রাজাবাড়ি জুলহাস উদ্দিনের ছেলে সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আসমার বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই আসমা ও সাহাবউদ্দিনের ছোট ভাই আজহারুল বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়। পরে তিনি জানতে পারেন সাহাবুদ্দিনকে তালাক দিয়ে আসমা আজহারুলকে বিয়ে করেছেন।
এরপর থেকে তাদের স-ঙ্গে আর যোগাযোগ রাখেনি পরিবারের লোকজন। আসমার প্রতিবেশিরা জানান, বিয়ের আগে প-র্য-ন্ত আসমা অনেক ভালো ছিল। ছাত্রী হিসেবেও অনেক ভাল ছিল। কিন্তু প্রথম বিয়ের পর থেকে আসমা পরিবর্তন হতে থাকে। এরপর পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। পরে দ্বি-তী-য় স্বা-মী-র ছোট ভাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে চলে যায়। তারপর থেকে এলাকায় তেমন আসেনি। এলাকাবাসীর স-ঙ্গে তেমন কোনো কথাও হয়নি। সেই স্বা-মীকেও হ-ত্যা করা কঠিন কাজ। দৃ-ষ্টা-ন্ত-মূলক শা-স্তি দাবি করেন এলাকাবাসী।
নিহত আজাহারের বাবা জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো দোষ করেনি। তার কোনো ভুলও ছিল না। তারপরও কেন আমার ছেলেকে হ-ত্যা করা হলো? সে তো আমার ছেলেকে তালাক দিয়ে ইমামকে বিয়ে করতে পারতো। আমি আসমা ও ইমামের ফাঁ-সি দাবি করছি।’ প্রস-ঙ্গ-ত, সোমবার (২৪ মে) দিনগত রাতে উত্তরার দ-ক্ষি-ণখান সরদার বাড়ি জামে মসজিদের সেফটিক ট্যাংক থেকে আজহারের ছয় টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার ও মসজিদের ইমামকে গ্রে-প্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।